গাজী মো. তাহেরুল আলম, ভোলা: ভোলায় চতুর্থ পর্যায়ে প্রধামন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন আরও ১২’শ টি পরিবার। উদ্বোধনের পর ভূমিহীনদেন হাতে এসব ঘর তুলেন দেন জেলা প্রশাসক।
নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভূমিহীনরা। অনেকেই আবার আনন্দে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ঘর পেয়ে ধন্যবাদ জানান প্রধামন্ত্রীকে। এ সমস্ত পরিবারগুলো আগে থাকতো অন্যের জমিতে ও বেড়ীবাঁধে।
ধনিয়া ইউনিয়নের জয়নাল হোসেন। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব হারিয়েছেন। পঙ্গুত্ব বরন করে অভাব অনাটনে দিন কাটছিলো তার। স্ত্রী অন্যের কাছ থেকে সাহায্য তুলে সংসার চালাতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে তার জীবন। আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।
পঙ্গু জয়নাল হোসেন বলেন, দুই ও চার ছেলে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি। স্ত্রী ঝাড়ুর কাজ করতে যা পেত তা দিয়েই সংসার চালাতো। এখন একটি মাথা গোজার ঠাই হয়েছে। আমি অনেক খুশি।
কাচিয়া ইউনিয়নের পরানগঞ্জ এলাকার আঃ রব। স্ত্রী আয়েশা বেতমে নিয়ে এসছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে।
তিনি বলেন, নদীতে সব নিয়ে গেছে। অন্যের জমিতে আশ্রিত ছিলাম। এথন নতুন ঘর পেয়েছি খুব ভালো লাগছে।
জয়নাল ও আঃ রবের মত অন্যদের জীবনের গল্প যেন একই। যারা নদী ভাঙ্গন সহ বিভিন্ন কারনে নিঃস্ব। ছিলনা মাথা গোজার ঠাঁই। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ঠিকানা পেয়েছেন তারা। স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাড়ানোর।
চতুর্থ ধাপে ভোলায় ১২’শ টি এবং সদরে আরও ৯০ টি পরিবার পেয়েছেন ঘর। এর মধ্যদিয়ে সদর উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হল সদর উপজেল্। আশ্রায়নের ঘর পেয়ে তাদের জীবনমানের উন্নতি হচ্ছে বলে জানালেন সহকারি কমিশনার(ভূমি),মোঃ আলী সুজা। তিনি বলেন, ভূমিহীনরা নতুন ঘর পেয়ে অনেকটা খুশি।
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধূরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন, জেলা আ’লীগের সভাপতি ফজলুল কাদেন মজনু, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, নজরুল ইসলাম গোলদার, উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার মোঃ আলী সুজা, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস প্রমুখ। উপস্থাপন করেন তালকা তালুকদার বাঁধন।
উল্লোখ্য, ভোলা জেলায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে।